গল্প
কবিতা (এক যে ছিল সোনার হরিণ )
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
এক যে ছিল সোনার হরিণ সোনার হরিণ
-আমির হামজা
সোনার হরিণ নাইতে গেলো দুধ সাগরের পরে
রূপে তাহার খাঁটি সোনা, আলো উপচে ঝরে
চলনে বলনে দীপ্ত নিশি দাঁড়ালে দিব্য শশী
চিবিয়ে চোয়াল নেড়ে খায় যখন তরু
সারি সারি দাঁত তাহার ঝিলিক সূর্য জ্যোতি
সোনার হরিণ ঘুমায় যখন,
মায়ের কোলে বৎস যেন লুকিয়ে আছে স্বপনে
সোনার হরিণ উঠলে জেগে আধার ফুরায় অভাবে
সোনার হরিণ গহিন বনে বিচরণ করে সদা
রূপ তাহার কোহিনুর অন্ধকারে উজ্জ্বলতা
সোনার হরিণ নাইতে গেলো দুধ সাগরের পরে
পেছন বনে লুকিয়েছিল শিকারি জারুল বৃক্ষ ওতে।
হরিণ বুঝেনি তখন, ডুব দিবে সে পানিতে
বুঝলে পরে ছুটতো শেষে আপন প্রাণের ভয়ে।
ঢেউয়ের অতি নিকটে এসে, পা ছুঁয়ে যায় বারি
এই সংযোগ হরিণের ভালো লাগে ভারী
শিকারি তখন তির উঁচিয়ে লক্ষ্য তাহার হরিণ
গলায় নাকি পেটে মারবে ভাবতে হবে গহিন।
ভাবনার জাল ছিন্ন করে ছুড়ে দিলো সে তীর তবে,
ছুটছে তীর সোনার হরিণ ফিরে তাকালো পিছে।
তিরের বেগে বায়ু কেটে যায়, লক্ষ্য তাহার গলা
হরিণ ভাবল ভাগ্য সেজে ছুটে আসছে তীরের ফলা।
পালাল না সে, ছুটল না সে ভেস্তে দিল না লক্ষ্য
দু পা আরও এগিয়ে গেলো তির আসছে তা দেখেও।
তির বিঁধল গলায় তাহার, যেথায় তরু কাঁদে লাগি যাওয়ার
রক্ত তাহার লাল মনি মুক্ত ছরালো হাড়ি হাড়ি।
লোভী শিকারির জিহ্বা লকলক, রক্ত আর মুক্ত
জলদিজলদি বেরিয়ে এলো কুড়াতে পারে যত।
এদিকে লস্যে গেলো সাগর ভিজে
পানি নিজেও ভিজে হলো রং তীব্র লালচে
রক্তের উর্বরতা সমুদ্র তটে এনে দিল
সোনালি রঙের লালচে কলমি লতা
সোনার হরিণ পতিত হল ঈষৎ ঢেউয়ের তালে
রক্তে তাহার দু-কুল ভিজে যায় শিকারি হাসে আরালে।
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন